Sonarpur Teacher: সরকারি চাকরির টোপ দিয়ে আর্থিক প্রতারণা, সোনারপুরে আটক চিকিৎসক
Tearcher Job:সরকারি চাকরির টোপ দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে উত্তম মুখোপাধ্যায় নামে এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে আটক করল পুলিশ।
রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সরকারি চাকরির টোপ দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থেকে এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে আটক করল পুলিশ। প্রতারণার অভিযোগে তাঁর ছেলেকেও আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, অভিযুক্ত চিকিৎসকের বাড়ি থেকে প্রচুর চাকরি সংক্রান্ত নথি, একাধিক সরকারি দফতরের নামাঙ্কিত কাগজ ও প্যাড উদ্ধার হয়েছে।
পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। ওষুধের সাহায্যে রোগীকে সুস্থ করে তোলা যাঁর কাজ, তাঁর বিরুদ্ধেই কিনা দুর্নীতি-রোগে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ! সরকারি চাকরির টোপ দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে উত্তম মুখোপাধ্যায় নামে এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে আটক করল পুলিশ। প্রতারণায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে তাঁর ছেলে অর্ণব মুখোপাধ্যায়কেও।
পুলিশ সূত্রে দাবি, আটক চিকিৎসকের বৈকুণ্ঠপুরের বাড়ি থেকে প্রচুর চাকরি সংক্রান্ত নথি, একাধিক সরকারি দফতরের নামাঙ্কিত কাগজ ও প্যাড উদ্ধার হয়েছে। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন একাধিক চাকরিপ্রার্থী। তার প্রেক্ষিতেই বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কেড়ে নেওয়া চাকরি ফিরিয়ে দিল হাইকোর্ট
অভিযোগকারী চাকরিপ্রার্থী সুমিত দত্ত বলেন, "সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। ৮০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে। নবান্নে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পদে চাকরি দেবে বলেছিল। আমি এখনও চাকরি পাইনি।" আরেক চাকরিপ্রার্থী সাহ্নিক দত্ত চক্রবর্তী বলেন, "উনি বলেছিলেন এটা খুব কম টাকার প্যানেল। সব প্যানেল বন্ধ হলেও মিনিস্টার প্যানেল কখনও বন্ধ হয় না। সেই বিশ্বাস থেকেই এতগুলো মানুষ উনাকে টাকা দিয়েছে।"
এই ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। ২০১৫ সালের পুরভোটে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক উত্তম মুখোপাধ্যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত পুরভোটে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথে বিজেপি প্রার্থীর এজেন্ট ছিলেন তাঁর ছেলে অর্ণব মুখোপাধ্যায়। যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসকের দাবি, তিনি অনেকদিন হল তৃণমূলেই আছেন।
দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতেই অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। রাজপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের টাউন সভাপতি শিবনাথ ঘোষ বলেন, "কোনও দিনই তৃণমূলের লোক নয়। ও বিজেপির লোক। বিজেপি থেকে দাঁড়িয়েছিল।" বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সুনীত দাস বলেন, "এক সময় বিজেপি করত ঠিকই। পরে তৃণমূলে কনভার্ট হয়েছে। কারণ তৃণমূল করা ছাড়া এভাবে চাকরি দিতে পারবে না।"
পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।